ভারতে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হওয়ায় দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বেড়েছে। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, প্রথম দফার মতো এবারও বাংলাদেশের যে নাগরিকরা চিকিৎসার জন্য ভারতে আছেন এবং যাদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিনের কম রয়েছে, শুধু তারাই বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারি বন্দর দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে দেশে ফিরতে আগ্রহী বাংলাদেশের নাগরিকদের দিল্লি, কলকাতা ও আগরতলার বাংলাদেশ মিশনের অনাপত্তিপত্র নিতে হবে। তবে সীমান্ত এলাকায় কোয়ারেন্টাইনের জায়গা সীমিত হয়ে পড়ায় ঈদের ছুটির আগে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন অনাপত্তিপত্র দেয়ার বিষয়ে কিছুটা কড়াকড়ি মেনে চলবে।
এর আগে যশোরে ভারতফেরত দুই বাংলাদেশির শরীরে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে নমুনা সিকুয়েন্সিং করে শনিবার (৮ মে) দুপুরে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
যবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন এবং যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
যবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ভারতফেরত করোনার রোগীর নমুনায় ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। ল্যাবে কিছু সিকোয়েন্স করে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স করার প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি আমরা আইইডিসিআরকে (রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) জানিয়েছি। পাশাপাশি যশোর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি অবহিত করেছি।
যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে ভারতফেরত ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের শরীরে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্টের (বি-১.৬১৭.২) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তবে এটি ডাবল মিউটেশন নয়। যেহেতু একটি এসেছে, ফলে ডাবল মিউটেশন বা অন্য ভেরিয়েন্টও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।