ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা চুক্তির নির্ধারিত সময়ে না দিতে পারায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।
রোববার সংসদ ভবনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক থেকে এই সুপারিশ করা হয়।
বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটি সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট যে আমাদের দিল না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন কি না- সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে বলেছি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসেই একাধিক সোর্স থেকে সংসদীয় কমিটি টিকা আনার পরামর্শ দিয়েছিল জানিয়ে ফারুক খান বলেন, এখন একটা সোর্স থেকে নিলেন কেন? এটা আমরা জিজ্ঞেস করেছি। মন্ত্রণালয় আমাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে, এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তারা এখন মাল্টিপল সোর্স থেকে টিকা আনার চেষ্টা করছে। ভারত থেকেও আশা করছে পাবে। আমেরিকা থেকে পাওয়ার চেষ্টা করছে। রাশিয়া ও চীন থেকে আনার চেষ্টাতো করছেই।
টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন, দ্বিতীয় ডোজেও তাদের একই টিকা পাওয়া নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা টিকা আনার উদ্যোগ দ্রুত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বৈঠকে।
এর আগে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ডের তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। টিকা সংরক্ষণ ও সরবরাহ করছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মা।
সিরামের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশ পাওয়ার কথা। যা বেক্সিমকো ফার্মা কর্তৃপক্ষ একাধিক বার গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পায় বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা পাঠায় সেরাম। এছাড়া ভারত সরকারের উপহার হিসেবে দুই দফায় আসে আরও ৩২ লাখ ডোজ টিকা।
ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে টিকার চাহিদা অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। ফলে নিজেদের চাহিদা মেটাতে ভারত টিকা রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। ভারত থেকে টিকা পাওয়ার আশা প্রায় ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশ বিকল্প উৎস থেকে টিকা আনা চেষ্টা করছে।