ভারতের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতি মুহূর্তে সংক্রমণের ভয়ে কাঁটা সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের ছবি দেখে শিউরে উঠছেন সবাই। এই দুই রাজ্যে গঙ্গা ও যমুনা নদীতে ভেসে বেড়াচ্ছে প্রচুর মৃতদেহ। বিহারে দেড় শতাধিক লাশ নদীতে ভাসতে দেখা গেছে। একই ঘটনা উত্তরপ্রদেশেও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছে, যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের হমিরপুর জেলায় এমনই ভয় ধরানো দৃশ্য চোখে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। করোনা আবহে মৃতের স্তূপ, গণচিতার সাক্ষী হয়েছে ভারত। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেরই আশঙ্কা, যমুনায় ভাসতে থাকা মৃতদেহগুলো করোনা আক্রান্তদের হতে পারে।
দেশের একাধিক রাজ্যের মতো উত্তরপ্রদেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। মৃতদেহ সৎকারের জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। তাই যমুনায় ভাসতে থাকা লাশ করোনা আক্রান্তদের হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, স্থানীয় প্রশাসনই নাকি মৃতদেহগুলো যমুনায় ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আবার উত্তরপ্রদেশের একাধিক জেলায় স্থানীয়দের যমুনা নদীতে মৃতদেহ ফেলতেও দেখা গিয়েছিল। করোনায় মৃতদেহের সংখ্যা ধামাচাপা দিতেই এই কাণ্ড বলেও ওঠে অভিযোগ। এই সমস্ত ঘটনাই নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
হমিরপুরের এএসপি অনুপ কুমার সিং এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘হমিরপুর ও কানপুরের সীমান্ত বরাবর যমুনা নদী বয়ে গিয়েছে। স্থানীয়রা এই নদীকে পবিত্র বলে বিশ্বাস করে এখানে মৃতদেহ ভাসিয়ে দেন।’
একইরকম ঘটনার সাক্ষী থাকল বিহারের কাটিহারও। সেখানে দেড়শোরও বেশি কোভিডে মৃতের দেহ গঙ্গায় ভাসতে দেখা গিয়েছে। হাসপাতালে পড়ে থাকা যে সমস্ত মৃতদেহ পরিবারের তরফে চাওয়া হয় না, সেগুলোই নাকি হাসপাতালের কর্মীরা গঙ্গায় ফেলেছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ভারতে গত একদিনে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৭৯ জন। একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১৯ হাজার ৫১৭ জন। এ নিয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ৯২৭ জন। মারা গেছেন ২ লাখ ৫০ হাজার ২৫ জন।