বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, যাদের কাছে শিষ্টাচার, ভদ্রতা আশা করেছিলাম; যারা আমাদের সভ্য হয়ে উঠার শিক্ষা দিবে, তাদের লোক যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও পুলিশের এপিসি খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ভাঙে, এটা দেখে যখন কিছু করতে পারি না, তখন আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে আমি লজ্জা পাই, আমার মাথা নিচু হয়ে আসে। আপনারা আমাকে ক্ষমা করবেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে দরিদ্র ও অসহায়দের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ মানবিক সহায়তা কোনো দান নয়, এটি আপনাদের (দরিদ্র-অসহায়) অধিকার। এটি আপনাদের প্রাপ্য। যে প্রাপ্যের বৃহৎ অংশ আমরা (জনপ্রতিনিধি) চুরি করে খাই। গরিব মানুষ পায় না। গরিব মানুষদের কিছু দান-খয়রাত করে আমরা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে চাই। আমাদের অপরাধ আমরা ঢাকতে পারব কি না জানি না। আপনারা আমাদের কীভাবে দেখবেন আমরা জানি না। আমি বারবার আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই।
উপকারভোগীদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আজকে যে আপনারা দরিদ্র অবস্থায় আছেন, আপনারা যে সহায়তা নেওয়ার জন্য এসেছেন, এটার জন্যও আমরা যারা রাষ্ট্র চালাই, দেশ চালাই তারাও দায়ী। সবার জন্য আমরা অন্ন, বস্ত্র ও শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারিনি, সেটার জন্যও আমরা দায়ী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম।
আলোচনা শেষে অতিথিরা অসহায় ও দুস্থদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ অর্থ বিতরণ করেন। পৌর এলাকার ৪০০ পরিবারকে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয় অনুষ্ঠানে।