ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ না হলে হামাসের রকেট হামলা চলবে বলে হুশিয়ার করে দিয়েছেন ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
তিনি বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল যদি পবিত্র জেরুজালেম আল-কুদস শহর এবং মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদে হামলা বন্ধ না করে তাহলে হামাসের যোদ্ধারা ইসরাইলকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা অব্যাহত রাখবে।
মঙ্গলবার ইসমাইল হানিয়া বলেন, জেরুজালেম আল-কুদস রাজনৈতিক এবং সরকারিভাবে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি করেছে। ফিলিস্তিনি জনগণের এই ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ়চেতা মনোভাব চূড়ান্ত বিজয় এনে দেবে বলে আশা করেন তিনি।
হানিয়া স্পষ্ট করে বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, যতক্ষণ পর্যন্ত দখলদার ইসরাইল আল-কুদস শহরে তার সব আগ্রাসনমূলক কর্মকাণ্ড এবং আল-আকসা মসজিদে হামলা বন্ধ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে।
গত সোমবার তৃতীয় দিনের মতো মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের ওপর তাণ্ডব চালায় ইসরাইলি বাহিনী। অবরুদ্ধ করে রাখা হয় মুসল্লিদের।
আল-আকসা মসজিদ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রকেট হামলার হুমকি দেয় গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। সেখান থেকে বাহিনী সরিয়ে না নিলে ইসরাইলে রকেট ছোড়ে সংগঠনটি।
এরপর গাজা উপত্যকায় একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। অনেক বহুতল ভবন ভেঙে চুরমান করে দেওয়া হচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত ১০ শিশুসহ ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অব্যাহত উত্তেজনা নিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ জরুরি বৈঠকে বসলেও ইসরাইলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বাধার কারণে প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতিতে দিতে পারেনি সংস্থাটি।
ইসরাইলি উগ্রবাদীদের জেরুজালেম দখল দিবস উদ্যাপন এবং শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ঘিরে এ উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এরপর আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে কয়েকশ’ মুসল্লি আহত হন।