দেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ১৪ মাস চলছে। ইতিমধ্যে ভাইরাসটির প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিয়েছে বাংলাদেশ। এবার মহামারিটির তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলম।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক বলেন, ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে জনসমাগম এবং মানুষের চলাচল যেভাবে বেড়েছে তাতে আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত। যারা ঢাকা ছেড়ে গেছেন, পরবর্তী সময়ে তারা যখন ফিরে আসবেন তখন আমাদের করোনার সংক্রমণ বাড়বে কি না তা নিয়ে আমরা চিন্তিত।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমাদের সক্ষমতা অনেকখানি বেড়েছে। আমাদের করোনা হাসপাতালগুলোর অধিকাংশ বেড এখন খালি। আমাদের দ্বিতীয় ঢেউ যেটা এসেছিল সেটা অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কিন্তু আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি, আগামীতে না আমরা আরেকটা ঢেউয়ের সম্মুখীন হই।
করোনার ভারতীয় ধরনের ভয়াবহতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সবার কাছে বিনীত অনুরোধ জানাবো, মানুষের সচেতনতা বাড়াতে আমরা সবাই মিলে যেন চেষ্টা করি। করোনা মহামারি কবে পৃথিবী থেকে যাবে আমরা জানি না। সে ক্ষেত্রে পৃথিবী থেকে এটা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কোনো সুযোগ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানও যদি আমরা না শুনি তাহলে আমাদের কে রক্ষা করবে। আমাদের নিজেদের সর্বনাশ যদি নিজেরা ডেকে আনি তাহলে এটা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুব মুশকিল।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। কয়েক মাস প্রথম সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি থাকার পর মাঝে কয়েক মাস অনেকটা কমে আসে। তবে গত মার্চ মাস থেকে শুরু হয় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ইতিমধ্যে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পৌনে আট লাখ। সম্প্রতি করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন দেশে শনাক্ত হয়েছে। এটা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে জনমনে।