বাংলাদেশ কোয়াডে যোগ দিলে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হবে—এ মন্তব্যের দুই দিনের মাথায় নিজের অবস্থান বদলে ফেললেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
আজ বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের কাছে তিনি নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত গত সোমবার ওই মন্তব্য করেন। ওই মন্তব্য যে ‘আউট অব কনটেক্সট’ বলেছেন, তা–ও উল্লেখ করেছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি কূটনীতিক সূত্র আজ বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
চীনের রাষ্ট্রদূত আজ সকালে বাংলাদেশকে চীনের দেওয়া উপহারের পাঁচ লাখ টিকা হস্তান্তরের জন্য রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে যান। সেখানে টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানের পর তিনি পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কথা বলেন।
তবে পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের কী আলোচনা হয়েছে জানতে যোগাযোগ করা হলে কিছু জানা যায়নি।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিকাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় চীনের রাষ্ট্রদূত যে মন্তব্য করেছিলেন, সেটার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন কোয়াডে কোনোভাবে বাংলাদেশ যোগ দিলে ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক খারাপ হবে।
সূত্র জানায়, পররাষ্ট্রসচিবকে বুধবার চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ওই মন্তব্যটি ‘আউট অব কনটেক্সটে’ করা হয়েছে। সম্পর্ক খারাপ করার কোনো অভিপ্রায়ে নয়। রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেছেন, মতবিনিময়ের সময় তিনি খোলামেলাভাবে কথা বলেছেন। বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে নয়।
চীনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য যে বাংলাদেশকে অবাক করেছে, সেটি তাঁকে জানানো হয়েছে। কারণ দুই দেশের চমৎকার সময়ের পর্বে এমন মন্তব্যে বাংলাদেশে ও দেশের বাইরে এক ধরনের নেতিবাচক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এ অঞ্চলে তো বটেই, বাইরেও তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত এ সময় তাঁর বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলেও সূত্রটি উল্লেখ করে।
বাংলাদেশের কর্মকর্তারা মনে করেন, চীনের রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক মন্তব্যের কারণে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা দ্রুত সুরাহার জন্য বেইজিংয়ের চেষ্টা থাকা উচিত। আর বাংলাদেশও এই পরিস্থিতি প্রত্যাশা করেনি। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার চীন এ ক্ষেত্রে এগিয়ে এলে বিষয়টি দ্রুত মেটানো সহজ হবে।