করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বিদায় নিল আরও একটি রমজান মাস। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহ তাণ্ডব। সংক্রমণের এই ভয়াবহতা প্রতিরোধে বাংলাদেশে ঘোষণা করা হয়েছে কঠোর লকডাউন ও নানা বিধিনিষেধ। এই লকডাউন চলবে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত। এমন বৈরি সময়ে সমাগত হয়েছে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।
এছাড়া সম্প্রতি দেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় ঈদের পর করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ। কাজেই দুর্যোগকালীন এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে, আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে, বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার করে ঈদের উৎসব পালন করুন। একইসঙ্গে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান থাকবে, তাঁরা যেন রাষ্ট্রের হতদরিদ্র পরিবারগুলোর দিকে আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে আসেন এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের সঙ্গে যেন ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। আমাদের মনে রাখতে হবে- ঈদের শিক্ষা হলো সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও একাত্মবোধের মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ এবং পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতার সম্প্রসারণ। সমাজের গরিব অভাবী মানুষও যাতে এই মহাআনন্দে শামিল হতে পারে, সেজন্য ইসলাম নির্দেশনা দিয়েছে।
ঈদে আদর্শবাদিতা, মার্জিত রুচিবোধ আর শালীনতার প্রকাশ ঘটে। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য থেকে বিচ্যুত না হয়ে সামাজিকতা এবং মানবতাবোধকে সমুন্নত করাই ঈদের মূল তাৎপর্য। মানবিক সাম্য, ত্যাগ, সহমর্মিতার অপরূপ আলোকপ্রভায় উদ্ভাসিত হোক ঈদুল ফিতর। সবাইকে মত ও পথের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।