গত একদিনে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে মোট ১২ হাজার ৭৬ জনের মৃত্যু হলো। একই সময়ে আরও ১২৯০ জনের দেহে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়ায় এই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৭ জন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৪৭১টি নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ২৯০ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৭ জন।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সুস্থ হয়েছেন ১৩৭০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ১৯ হাজার ৬১৯ জন।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মার্চ মাস থেকে তা শুধুই বাড়ছে। গত ১৬ এপ্রিল মৃত্যু একশো ছাড়ায়। সেদিন ও তার পরদিন ১৭ এপ্রিল ১০১ করে মৃত্যু হয় করোনায়। ১৮ এপ্রিল ১০২ জন ও ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান, যা একদিনে সর্বোচ্চ। মৃত্যু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত ও সংক্রমণের হারও বাড়তে থাকে। গত ২৬ মার্চ শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২৭ মার্চ তা বেড়ে ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ, ২৮ মার্চ ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ২৯ মার্চ ১৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ৩০ মার্চ ১৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ৩১ মার্চ ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, ১ এপ্রিল ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ২ এপ্রিল ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ ও ৩ এপ্রিল ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশে দাঁড়ায়। এরই মাঝে গত ৪ এপ্রিল দৈনিক শনাক্ত সাত হাজার (৭০৮৭) ছাড়ায়। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর সেটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।