করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী চলমান বিধিনিষেধ কাল শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় তা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। আগামীকাল রোববার (১৬ মে) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ শনিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন যেমনভাবে বিধিনিষেধ চলছে, তেমন করে আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কাল এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত এবং প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
সরকারি সূত্রগুলো বলেছে, ঈদের আগে যেভাবে মানুষ চলাচল করেছে, তাতে সংক্রমণ বৃদ্ধি হতে পারে। ২৪ মের দিকে গিয়ে এর বহিঃপ্রকাশ হতে পারে। এ জন্য আরও কিছুদিন বিধিনিষেধ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। যেসব মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে গেছে, তারা কীভাবে ফিরবে, বিধিনিষেধে কী কী থাকবে, সেই বিষয়গুলো কাল আলোচনার ভিত্তিতে ঠিক হতে পারে।
চলমান বিধিনিষেধে একই জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলতে পারছে। তবে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় গণপরিবহন বন্ধ আছে। এ ছাড়া যাত্রীবাহী নৌযান ও ট্রেনও আগের মতো বন্ধ আছে। তবে গত ২৫ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিং মল খুলে দেওয়া হয়েছে। খোলা আছে ব্যাংকও। এ ছাড়া জরুরি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত অফিসগুলোও খোলা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার চলতি বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। সেটি পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এরপর আবার তা ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়, যা আবার বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। এখন তা আবারও বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।