দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় অপেক্ষাকৃত কম নমুনা পরীক্ষায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৩ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
রোববার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নতুন ২৫ জনসহ দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১৪৯ জন। আর দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা সাত লাখ ৮০ হাজার ১৫৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬০১ জন। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন সাত লাখ ২২ হাজার ৩৬ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে পাঁচ হাজার ৫০৮টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৪৩০টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৫৭ লাখ সাত হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ লাখ ২৫ হাজার ২২৫টি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ছয় দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৬ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৫ জন মৃত্যুবরণকারীর মধ্যে পুরুষ ১৮ জন ও নারী সাতজন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন আট হাজার ৭৯৭ জন ও নারী তিন হাজার ৩৫২ জন। এছাড়া মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন ও ষাটোর্ধ্ব ১৩ জন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন ও বরিশাল বিভাগে একজন। এছাড়া সরকারি হাসপাতালে ২০ জন ও বেসরকারিতে চারজন মৃত্যুবরণ করেছেন এবং বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন একজন।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস ধরে টানা মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর বছর শেষে কয়েক মাস ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। চলতি বছরের শুরুতে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত অনেকটা কমে আসে। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশেষজ্ঞরা এটাকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বলছেন।