রাজধানীর রাস্তায় আজও ঈদের ছুটির রেশ

মহানগর প্রতিবেদক

ফাঁকা রাজধানী
ছবি : সংগৃহীত

ঈদের ছুটি শেষ। খুলেছে অফিস। কর্মস্থলে ফেরার লড়াইয়ে মানুষ। নগরীর প্রবেশপথগুলোতে বাড়ছে ঢাকামুখী মানুষের চাপ। তবে এখনও তার প্রভাব পড়েনি মূল শহরে। শহরজুড়ে বিরাজ করছে নীরবতা। রাস্তাঘাট এখনও ফাঁকা। কোথাও নেই ট্রাফিক জট। যানবাহনেরও চাপ নেই বললেই চলে। রবিবার (১৬ মে) সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সকালে সায়েদাবাদ টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, দূরপাল্লার কোনো পরিবহন চলাচল করছে না। তবে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, মিনি-ট্রাক প্রভৃতি বিকল্প পরিবহন যোগে ঢাকার ঢাকায় ফিরছে মানুষ। সিটি এলাকায় দু-চারটি যানবাহন চলাচল করছে। তবে যাত্রীর সংখ্যা কম।

universel cardiac hospital

বলাকা পরিবহনের চালক আসাদ মিয়া বলেন, ‘সকাল থেকে রাস্তায় আছি। যাত্রী নেই। মাঝেমধ্যে দুই-এক জন যাত্রী পাওয়া গেলেও অধিকাংশ সময় অর্ধেকেরও বেশি আসন ফাঁকা থাকে। মানুষ এখনও ঈদের ছুটি শেষ করে ঢাকায় ফেরেনি। সে কারণে এমন অবস্থা।’

শাহবাগ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি পরিবহন ডাকাডাকি করে যাত্রী তোলার চেষ্টা করছে, কিন্তু তেমন যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। মিডওয়ে পরিবহনের হেলপার খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘খিলগাঁও থেকে মতিঝিল হয়ে এখানে এসেছি। বাসে মানুষ আছে তিন জন। যে টাকার তেল খরচ হচ্ছে সেটাও উঠবে বলে মনে হয় না। এখন যাত্রীরা যদি কিছু ঈদের বকশিশ দেন তাহলে হয়তো আমাদের রক্ষা হবে।’

.
একই চিত্র দেখা গেছে, ফকিরাপুল, পল্টন, রাজারবাগ, দৈনিক বাংলা, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, কমলাপুর, মালিবাগ, মগবাজার, নাবিস্কো, মহাখালী, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায়।

সড়ক ফাঁকা থাকায় ঘুরতে বের হয়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবী শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সকালে পরিবার নিয়ে নিজস্ব গাড়িতে ঘুরতে বেরিয়েছি। মাত্র এক ঘণ্টায় বনানী, মহাখালী, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, পল্টন, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, রায়েরবাগ ঘুরে ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বনানী হয়ে রামপুরায় চলে এসেছি। কোথাও কোনও ট্রাফিক সিগন্যালেও পড়িনি।’

.
রবিবার রাজধানীর গাবতলী ও আমিনবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মানুষের চাপ অনেক কমেছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন মিরপুর, শ্যামলী এবং কল্যাণপুর এলাকার রাস্তাগুলো ফাঁকা দেখা গেছে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বাড়ি ফেরত মানুষের চাপ বাড়বে বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার করুন