রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে পাঁচজন মারা গেছেন। শনিবার বিকালে ঝড়-বৃষ্টি চলাকালে বজ্রপাতে তারা মারা যান।
নিহত হলেন- রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের এছার আলীর ছেলে বাবু ইসলাম (২৩), একই গ্রামের সাইদুল চৌকিদারের ছেলে রনি ইসলাম (৩৩), বাগমারা উপজেলার হাজড়াপাড়া গ্রামের নিজাম উদ্দিন (৫৫) ও বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের চকরপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম বাবু (৩২) এবং চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী গ্রামের থানাপাড়ার মহত আলীর ছেলে সমির উদ্দিন (৪৫)।
বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, দুর্গাপুরের বাবু ও রনিসহ চারজন বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার সুলতানপুর তালতালি নদীর পাড়ের একটি গাছে আম পাড়ছিলেন। বিকাল ৪টার দিকে বজ্রপাতে তারা আহত হন। স্থানীয়রা তাদের তাহেরপুর একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বাবু ও রনিকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি মোস্তাক।
তাছাড়া উপজেলার হাজড়াপুকুর গ্রামে মাঠ থেকে ধান নিয়ে ফেরার সময় বজ্রপাতে নিজাম মারা যান বলে জানান ওসি মোস্তাক।
বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক বলেন, বিকাল পৌনে ৩টার দিকে বাড়ির পাশে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে জহুরুল ইসলাম বাবু গুরুতর আহত হন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে সমিরের মৃত্যুর বিষয়ে স্থানীয়রা বলছে, বিকালে ঝড়-বৃষ্টির সময় গ্রামের মাঠে গরু আনতে যান সমির উদ্দিন। গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই পড়ে থাকেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।