গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৩ শিশুসহ আরও ৩৩ জন নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলি হামলা
গাজায় ইসরায়েলি হামলা। ছবি : ইন্টারনেট

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার প্রাণকেন্দ্রে আবাসিক এলাকায় নৃশংস বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। রোববার (১৬ মে) ভোরে নতুন এ হামলায় ১৩ শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে আল-ওহেদা শহরের দুটি আবাসিক ভবন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে এ খবর জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা। খবরে বলা হয়, গাজা উপত্যকার আল-ওহেদা শহরকে কেন্দ্র করে ৭০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোররাতের হামলাগুলো গাজা সিটির কেন্দ্রস্থলে চালানো হয়েছে।

হামলার জবাবে গাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইসরায়েল ও গাজার লড়াই সপ্তম দিনে গড়ালেও যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে।

রামজি এশকুতানা নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, তেল সুবেরি থেকে পালমেরা পর্যন্ত ব্যাপক বোমাবর্ষণ হয়েছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে সেখানে বিমান থেকে একের পর এক ৪০টি বোমা হামলা চালানো হয়। আমরা দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি আশপাশের বেশির ভাগ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আমার ভাইয়ের বাড়িও ছিল। তার স্ত্রী ও চার সন্তান ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যায়। আমার ভাইয়ের স্ত্রী সন্তানদের ধরে রেখেছিল। এগুলো এফ-১৬ ক্ষেপণাস্ত্র ছিল না, এগুলো ছিল এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া বোমা।’

গত সোমবার দুই পক্ষের সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় এ পর্যন্ত ১৮১ জন নিহত হয়েছেন, এদের মধ্যে ৫২টি শিশু আছে।

অন্যদিকে হামাস ও গাজার অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর রকেট হামলায় ইসরায়েলে এ পর্যন্ত দুটি শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন, এদের মধ্যে একজন সৈন্য রয়েছেন।

ইসরায়েলি মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, তেল আবিবের দিকে ছুটে আসা হামাসের রকেটের জন্য বাজানো সাইরেনের শব্দে ইসরায়েলিরা হুড়োহুড়ি করে ভূগর্ভস্থ আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে ছুটতে শুরু করেন, এ সময় ১০ জনের মতো লোক আহত হন।

শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও মিশরের দূতরা কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো অগ্রগতির লক্ষণ দেখাতে পারেননি। ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে শুরু হওয়া কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এ লড়াই নিয়ে রোববার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে দুই পক্ষের হামলা নিয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

শেয়ার করুন