ভারতে ঘূর্ণিঝড় তকতের তাণ্ডবে নিহত ১৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতে ঘূর্ণিঝড়
সংগৃহীত ছবি

ভারতের গুজরাট উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় তকত আঘাত হেনেছে। সোমবার মধ্যরাতে এটি ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হয়ে গুজরাট উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। বিবিসি ও এনডিটিভির।

এতে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। ভারতীয় নৌবাহিনী মুম্বাইয়ের অদূরে দুটি বার্জ নৌকা থেকে ৪০০ জনেরও বেশি লোককে উদ্ধারের জন্য তিনটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে।

universel cardiac hospital

উপকূলীয় এলাকা থেকে দেড় লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি পোরবন্দর ও মহুভার মধ্যবর্তী উপকূল অতিক্রম করবে। এ সময় ঘণ্টায় এটি ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার বাতাসের গতি বজায় রাখবে। আশপাশের অঞ্চলে অত্যন্ত শক্তিশালী বাতাস বইছে।

ঘূর্ণিঝড় তকতের প্রভাবে ভারতের মহারাষ্ট্রে কমপক্ষে ছয়জন মারা গেছেন ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মুম্বাইতে ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১৪ কিলোমিটার বেগে আঘাত হেনেছে। প্রচণ্ড বাতাসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে শহরটির অনেক স্থান তলিয়ে গেছে।

ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তীব্র বাতাসের কারণে বান্দ্রা-ওয়ারলি সমুদ্র যোগাযোগটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তকতের প্রভাবে উপকূলীয় রাজ্য কর্নাটকে আটজন মারা গেছেন। রাজ্য বিপর্যয় পরিচালন কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— দক্ষিণ কন্নড়, উদুপি, উত্তরা কন্নড়, কোডাগু, চিক্কামাগুরু, হাসান ও বেলাগাভি এ সাত জেলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইতোমধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও গুজরাটের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৫৪টি দলকে উপকূলবর্তী নিচু এলাকাগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

জুনাগড়, গির সোমনাথ, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ, দিউ, পোরবন্দর, দ্বারকা, আমরেলি, রাজকোট ও জামনগরে প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে করোনা রোগীদের সেবা চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

শেয়ার করুন