করোনাকালে ফুসফুস ভালো রাখাটাই অন্যতম চ্যালেঞ্জ। কারণ ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে আপনি বিপদ থেকে অনেকটাই দূরে থাকতে পারবেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। তাই আগেভাগেই সতর্ক থাকা জরুরি। জেনে নিন এমন ৪টি পানীয় সম্পর্কে, যা পান করলে ভালো থাকে ফুসফুস-
তুলসি পাতার চা খাবেন যে কারণে
তুলসি পাতার রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। কাশি ও শ্লেষ্মা দূর করার ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকরী। পাশাপাশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। গলা ব্যথা বা ঠান্ডার সমস্যায় তুলসি পাতার চা খেলে মিলবে উপকার। নিয়মিত তুলসি পাতার চা খেলে ফুসফুসের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা করতে হবে না। কারণ এটি ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে।
আদা চায়ের উপকারিতা
আদার গুণ সম্পর্কে জানেন নিশ্চয়ই? আমাদের দেশে আদা দেওয়া চা পানের অভ্যাস বেশ পরিচিত। আদা চা পান করলে তা সর্দি-কাশি সারাতে কাজ করে। কারণ এতে আছে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। আদা চা শ্বাসনালী থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতেও কাজ করে। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও জিংক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঋতু পরিবর্তনের সময় যে ভাইরাল সর্দি-কাশি বা জ্বর হয়ে থাকে, তা থেকেও মুক্তি দিতে পারে আদা চা।
উপকারী পানীয় এলাচ চা
সুগন্ধের জন্য বিখ্যাত মশলা হলো এলাচ। এটি শুধু যে খাবারের সুগন্ধ বাড়ায় তা কিন্তু নয়, বরং এর অনেক উপকারিতা আমাদের শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে। এলাচ দেওয়া চা খেলে তা ফুসফুস ভালো রাখে, সেইসঙ্গে ঠিক রাখে পাচনতন্ত্রকেও। এলাচের সুন্দর গন্ধ মন ভালো রাখতে কাজ করে।
হলুদ মিশ্রিত দুধ বা পানি কী কাজ করে?
নানা রকম উপকারিতায় ঠাসা হলুদ। আপনি যদি প্রতিদিন হলুদ খান তবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। এতে থাকা কারকিউমিন নামক উপাদান ফুসফুস ভালো রাখে সেইসঙ্গে প্রাকৃতিকভাবে শক্তিশালীও করে। আমাদের শরীরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানগুলো দূর করতেও সাহায্য করে হলুদ। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধ বা পানিতে হলুদ মিশিয়ে পান করলে বেশি উপকার পাবেন।