আগামী জুলাইয়ে লক্ষ্মীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব আসনে উপনির্বাচনের তফসিল আগামী ২৪ মে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
বুধবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে এ কথা জানান তিনি। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বিকেল ৩টায় কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে ইসি সচিব বলেন, লক্ষ্মীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনে নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। লকডাউন চলার কারণে সময়সূচি ঘোষণা করা হয়নি। আগামী ২৪ মে নির্বাচনের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে এসব তারিখ ঠিক করা হবে।
তিনি আরও বলেন, শূন্য আসনে যেহেতু এসব উপনির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাই কমিশন এই চারটি আসনে জুলাই মাসে নির্বাচনের আয়োজন করবে।
স্থগিত হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, আজকের সভায় এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ২৪ মের কমিশন সভায় এ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
সংবিধান অনুযায়ী কোনো সংসদীয় আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বিধান রয়েছে। তবে দৈব-দুর্বিপাকের কারণে নির্বাচন করতে না পারলে আরও ৯০ দিন সময় পেছাতে পারে ইসি।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে গত ১ মার্চ থেকে সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত করে কমিশন। এছাড়া এই সময় অনেক নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হলেও শূন্য হওয়া লক্ষ্মীপুর-২ ও সিলেট-৩ আসনের ভোটের ব্যাপারে সিইসির বিশেষ ক্ষমতাবলে এসব নির্বাচনের মেয়াদ ৯০ দিন বাড়ানো হয়। এই ৯০ দিনও পার হয়ে যাচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র এমপি শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুলের সাংসদ পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। কুয়েতের ফৌজদারি আদালতে ঘোষিত রায়ে নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন তিনি। এ কারণে তিনি বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য নন। তাই সংবিধানের ৬৭(১(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ (গত ২৮ জানুয়ারি) থেকে তার আসন শূন্য হয়েছে।
অন্যদিকে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য হয়। গত ১১ মার্চ রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান তিনি।
ঢাকা-১৪ আসনের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের আসলামুল হক গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশের সাবেক আইনমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কুমিল্লা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু গত ১৪ এপ্রিল ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এতে ওই আসনটি শূন্য হয়।