এই সময়ে দেশে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গোপন নথি চুরির অভিযোগ তোলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে এবং নির্মম প্রক্রিয়ায় সচিবালয়ের একটি কক্ষে সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রেখে থানায় সোপর্দ করা হয় তাকে। রোজিনাকে নিগৃহীত ও নির্যাতন করার একাধিক ভিডিও ক্লিপ ও ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন নারী কর্মকর্তা কর্তৃক রোজিনার ওপর নির্যাতনের চিত্র স্পষ্ট।
রোজিনা ইসলামের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যা করেছেন সেটি যে কোনো দৃষ্টিকোণ থেকেই অন্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ, তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন তাহলে শুরুতেই তাকে আইনের আওতায় নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেত। কিন্তু তা না করে ঘণ্টার পর ঘন্টা একটি কক্ষে আটকে রেখে তাঁর ওপর যে ধরনের শারীরিক ও মানসিক টর্চার করা হয়েছে তা কোনো সভ্যসমাজ সমর্থন করতে পারে না। অপরদিকে তাঁর মতো একজন নিরীহ সাংবাদিককে শত শত পুলিশ পাহারায় আদালতে হাজির করার বিষয়টিও একটি অস্বাভাবিক ঘটনা।
আমরা আশা করব, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি তাঁকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির ব্যবস্থা করতে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল সংস্থাসমূহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
লেখক: সংসদ সদস্য, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা,
পঁচাত্তর-পরবর্তী প্রতিরোধ যোদ্ধা,
সম্পাদক, মত ও পথ।