হঠাৎ করে রোহিঙ্গাদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলো। তারই অংশ হিসেবে শুক্রবার (২১ মে) থেকে আবারও এক সপ্তাহের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) শাহ্ রেজওয়ান হায়াত বলেন, শরণার্থী শিবিরে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ক্যাম্পে সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ওষুধ ও খাবারের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
কক্সবাজার স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, এখন পর্যন্ত কক্সবাজারের ক্যাম্পে ৮২৩ রোহিঙ্গার দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ১২ রোহিঙ্গা মারা গেছেন।
এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার কথা জানিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের নেতা সৈয়দ উল্লাহ বলেছেন, ‘ক্যাম্পে করোনা আক্রান্তের খবরে লোকজন ভয়ে আছে। ক্যাম্পে ঘিঞ্জি বসতি, সেহেতু ঝুঁকিটাও বেশি। আর এই ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়, সেটি অনেকে জানে না।’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আশয় নিয়েছিল ৪ লাখ। সব মিলিয়ে বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখের বেশি।