চারটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের তফসিল এবং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণার কথা থাকলেও তা হয়নি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানোয় এসব ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২ জুন ইসির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে ইসি সচিবালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির খোন্দকার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
লক্ষ্মীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনের উপনির্বাচন এবং ইউপি নির্বাচন নিয়ে ১৯ মে বৈঠক করেছিল ইসি। সেদিন সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২৪ মে সংসদীয় আসনের তফসিল হবে। ইউপির বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে।
আজকের বৈঠক শেষে ইসি সচিব বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর কারণে আপাতত ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেনি নির্বাচন কমিশন। আগামী ২ জুন ভোটের তারিখ ঠিক করা হবে। অন্যান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়েও সেদিন সিদ্ধান্ত হবে।
ইসি সচিব জানান, শূন্য আসনে উপনির্বাচনের সময়সীমা-সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা আছে। মধ্য জুলাইয়ে নির্বাচন করতে গেলেও ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনে নির্বাচন করার সাংবিধানিক সময় শেষ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে সংবিধানে দেওয়া সিইসির বিশেষ ক্ষমতাবলে নির্ধারিত সময়ের পরবর্তী ৯০ দিনের জন্য সময় বাড়ানো হবে।
সংবিধান অনুযায়ী কোনো সংসদীয় আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বিধান রয়েছে। তবে দৈবদুর্বিপাকের কারণে নির্বাচন করতে না পারলে নির্ধারিত মেয়াদের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করার সুযোগ রয়েছে।