জোয়ারের পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা, ৩ নম্বর সংকেত বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ।

ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আরও দুর্বল হয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।

একইসঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের পানি আরও বাড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

universel cardiac hospital

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) ভাের ৬টায় গভীর নিম্নচাপ আকারে উত্তর উড়িষ্যা ও কাছাকাছি ঝাড়খণ্ড এলাকায় অবস্থান করছিল। গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।

এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মােংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে সতর্কবার্তায়।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরােজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভােলা, নােয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলা এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়াে হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য ও পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরােজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভােলা, নােয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে চার ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শেয়ার করুন