সিরিয়ায় বুধবার অনুষ্ঠিত হলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ফলাফল হাতে না এলেও নির্বাচনি সমীকরণ বলছে জয়ী হয়ে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। এএফপি।
২০১১ সালে শুরু হওয়া গণবিক্ষোভ ও ১০ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের পর দ্বিতীয়বারের মতো সেখানে বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
দশকজুড়ে চলা এ গৃহযুদ্ধে তিন লাখ ৮৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। এবারের নির্বাচনে আসাদের বিপক্ষে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
যারা ছিলেন, পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আর আসাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা অঞ্চলগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
অর্থাৎ তার সামনে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। সে কারণেই ধারণা করা হচ্ছে একচেটিয়া প্রাধান্য বিস্তার করে ‘প্রহসনের’ এ নির্বাচনে মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই জয়ী হচ্ছেন আসাদ।
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর আসাদের ‘গৌরবময়’ বিশাল পোস্টার দেশের দুই-তৃতীয়াংশ অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ছত্রাকের মতো।
নির্বাচনকে অর্থবহ করতে দেশটির প্রভাবশালী নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদেরও ভোট দিতে যাওয়ার জন্য কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। ভোটগ্রহণ বন্ধ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধায় ফলাফল ঘোষণা করা হবে আশা করা হচ্ছে।
ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বাশার আল আসাদের সমালোচনা করে নির্বাচনটি ‘অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না’ বলে মন্তব্য করেন।