আরেকটি হোয়াইটওয়াশের মিশনে টাইগাররা

ক্রীড়া ডেস্ক

টস
টস করা। সংগৃহীত ছবি

এক ম্যাচ হাতে রেখেই মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। তার পরও ক্রিকেটারদের চোখে মুখে আক্ষেপ, হতাশা! দুটি ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশ সেরা ক্রিকেট এখনও খেলতে পারেনি। শুক্রবার শেষ ম্যাচটি সেই আক্ষেপ পূরণের মঞ্চ। এই ম্যাচ নিয়ে তামিম-মাহমুদউল্লাহরও লক্ষ্য নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলা। তার সঙ্গে শেষ ম্যাচটি জিতলে লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথমবার তো বটেই, সব মিলে ১৫তম হোয়াইটওয়াশ উদযাপন করার সুযোগ পাবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

শুক্রবার দুপুর ১টায় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। গাজী টেলিভিশন ও টি-স্পোর্টস ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে। অবশ্য দ্বিতীয় ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী বিকাল চারটা পর্যন্ত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি হলে ম্যাচটি হয়তো কার্টেল ওভারে গড়াতে পারে!

ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে সব সময়ই শক্ত প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। বিশেষ করে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে এই ফরম্যাটে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে তামিম-সাকিবরা। এতো সফল যে এই সাত বছরে বাংলাদেশ মাত্র একটি সিরিজই হেরেছে।

বাংলাদেশ সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। শুক্রবার শেষ ম্যাচটি জিততে পারলে আরেকটি আক্ষেপ দূর হবে তামিমদের। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১১টি হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কাছে সবচেয়ে বেশি পাঁচবার এই লজ্জা পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। কেনিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুইবার করে এবং আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে একবার। এবার বাংলাদেশের লক্ষ্য শ্রীলঙ্কা!

ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ স্পষ্ট করেই বলেছেন, অবশ্যই, তিন শূন্যই আমাদের লক্ষ্য। আমরা ম্যাচটিতে সেরা ক্রিকেট খেলতে চাই।

সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেলেও ম্যাচটিকে হালকাভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ দল। বিশেষ করে ওয়ানডে সুপার লিগের ম্যাচ বলে প্রাপ্ত পয়েন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি আগের দুটি ম্যাচ জিতলেও আক্ষেপ রয়ে গেছে। শুক্রবার সেই আক্ষেপটা দূর করতে উন্মুখ হয়ে আছে পুরো দল। মাহমুদউল্লাহও বললেন তেমনটা, ‘প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু বিশ্বকাপে কোয়ালিফাইংয়ের বিষয় থাকে, তো প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ এবং যেহেতু আরেকটা সুযোগ আছে ১০ পয়েন্ট পাওয়ার। এছাড়া আগের দুই ম্যাচে আমরা আমাদের সেরা পারফরম্যান্সটা দিতে পারিনি। তো আমরা শুক্রবার সেটাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।’

এদিকে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নিচ্ছেন সাকিব ও মিরাজরা। দুই ম্যাচে ১৯ উইকেটের ১০টি নিয়েছেন বাংলাদেশের এই দু্ই স্পিনার। দুই স্পিনারের ভীতি কাটিয়ে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা শুক্রবার নিজেদের সহজাত খেলা খেলতে পারবেন বলে আশাবাদী শ্রীলঙ্কান কোচ মিকি আর্থার, ‘স্পিনারদের (সাকিব-মিরাজ) সামলাতে আমাদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। যা আমাকে বেশ আশ্চর্য করেছে। অথচ নেটে আমাদের ব্যাটসম্যানরা দারুণ সাবলীল। কিন্তু মাঠে নেমেই ভুল করে ফেলছে। হয়তো চাপ কিংবা ব্যর্থতার ভয়ে এমনটা হচ্ছে। বিশেষ করে স্পিনের বিরুদ্ধে তারা ভালো করতে পারেনি, কিন্তু কাল (শুক্রবার) তারা ভালো পারফরম্যান্স করবে বলে আমার বিশ্বাস।’

শেয়ার করুন