করোনামুক্ত হওয়ার দীর্ঘদিন পর ‘হঠাৎ করেই’ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড বিএনপি চেয়ারপারসনের এই নতুন উপসর্গ কেন দেখা দিল, তা পর্যালোচনায় বৈঠকে বসবে।
আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের বাজেট ভাবনা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) এখন মোটামুটিভাবে ভালো, প্যারামিটারসগুলো ভালো। কিন্তু গতকাল রাত থেকে ওনার জ্বর দেখা দিয়েছে। যেটা চিকিৎসকেরা ইনভেস্টিগেট করছেন, চিকিৎসা দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, হঠাৎ করেই তাঁর এ জ্বর এসেছে। এটা চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আজকে ওনার মেডিকেল বোর্ড বসবে। তারপর জানা যাবে। গতকাল রাত থেকে জ্বর সারানোর জন্য চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ৬ দিন পর ৩ মে তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাঁকে জরুরিভাবে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে।
গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। করোনামুক্ত হন ৯ মে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ মানবিক বিবেচনায় শর্তসাপেক্ষে তাঁকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে ভাড়া বাসা ফিরোজায় একরকম কোয়ারেন্টিনের মধ্যে ছিলেন। তার সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগ ছিল সীমিত।