জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জীবনবাজি রেখে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যে ভূমিকা রাখছে তাতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার সেনাকুঞ্জে ভিডিও কনফারেন্সে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১’ উদযাপন অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শহীদ শান্তিরক্ষীদের নিকটাত্মীয় এবং আহত শান্তিরক্ষীদের সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্মারক তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা-মহামারির মধ্যেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তি স্থাপনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ওইসব দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবিকতা , সাহস দিয়ে বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উচ্চ স্থানে পৌঁছেছে বলেই শান্তিরক্ষীর চাহিদায় বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যেমন নিজের দেশকে ভালোবাসি তেমনই যেখানেই নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষ আছে তাদের সাথে আছি।’
বিভিন্ন মিশন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত থাকা বাংলাদেশি সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুধু প্রধানমন্ত্রী নই, জাতির পিতার মেয়ে। তাই আমার ওপর আপনাদের অধিকার আছে। তাই যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন। স্বজন হারিয়ে এত দূরে থাকা এবং জীবনকে শুধু দেশের জন্য নয়, যেসব এলাকায় আপনারা কাজ করছেন। সেই আলাদা পরিবেশে যে কাজ করে যাচ্ছেন মানবতা, মানব কল্যাণ ও সবচেয়ে বড় কথা শান্তি রক্ষার জন্য।’
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালিরা যেখানেই যাচ্ছেন, একদিকে যেমন শান্তি রক্ষায় প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক গড়ে তুলছেন। দরদি মন নিয়ে পাশে দাঁড়াচ্ছেন। এটা মনে হয় বাঙালি হিসেবে আমাদের বৈশিষ্ট্য, পরকে আপন করে নেয়া।’
শান্তিরক্ষী বাহিনী কর্মরত নারীদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারী পাইলটদের নিয়ে খুব গর্ববোধ করি। এখন সব জায়গায় মেয়েদের একটা ভালো সুযোগে আছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের মানুষের অর্থনীতির উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য শিক্ষা-দীক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কর্মসংস্থান তৈরি করাই আমাদের কাজ। আমরা সেটা করছি।’