ইসরায়েলে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ আইস্যাক হেরজোগ। দেশটির পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটে দেশটির ১১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। আগামী ৯ জুলাই ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন তিনি।
বুধবার ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে ভোটে তিনি নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ভোটের লড়াইয়ে দেশটির সাবেক প্রধানশিক্ষিকা মিরিয়াম পেরেৎজকে হারিয়েছেন হেরজোগ (৬০)। নির্বাচিত হওয়ায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি।
২০১৪ সালে দেশটির পার্লামেন্টের আলঙ্কারিক প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন রিউভেন রিভলিন।
ইসরায়েলের পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট পদের ক্ষমতার পরিধি খুবই সীমিত। প্রাথমিকভাবে পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক এবং সরকার গঠনের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে কাজ করেন। আর দেশটির নির্বাহী কর্তৃত্ব এককভাবে থাকে প্রধানমন্ত্রীর।
তবে প্রেসিডেন্ট অপরাধীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমার ঘোষণা দিতে পারেন; প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু প্রতারণা, ঘুষগ্রহণ এবং বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হওয়ায় নতুন প্রেসিডেন্টের এই ক্ষমা ঘোষণার ক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এদিকে বুধবার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে বিরোধী দল জোট ঘোষণার করতে চলেছে। ফলে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় থাকা নেতানিয়াহুর ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
মধ্যপন্থী দল ইয়েস আতিদের নেতা ইয়াইর লাপিদ জোট সরকার গঠনের জন্য উগ্র জাতীয়তাবাদী দল ইয়ামিনা পার্টির নেতা নাফতালি বেনেটের সঙ্গে জোট গঠনের ব্যাপারে একমত হয়েছেন। যে কোনো সময় তারা জোট ঘোষণা করবেন।
গত মার্চে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে চূড়ান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হন ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা নেতানিয়াহু। ওই নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো জোট গঠনে ব্যর্থ হন তিনি।
এদিকে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাই যুগব্যাপী থাকা ক্ষমতার থাকা নেতানিয়াহুর মসনদ ছাড়া এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র।