হেফাজত তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর মঞ্চের কর্মসূচি পরিবর্তন

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

সাজিদুর রহমান-মোবারক উল্লাহ
২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত কর্তৃক পরিচালিত তাণ্ডবের জন্য রাজপথে নেমে নির্দেশনা দিচ্ছেন মাওলানা সাজিদুর রহমান ও মোবারক উল্লাহ। ফাইল ছবি

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ টানা তিন দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারকীয় তাণ্ডবের নির্দেশদাতা হেফাজতে ইসলামের জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহসহ সকল অপরাধীদেরেকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর মঞ্চের ডাকা পূর্ব নির্ধারিত (২ জুন, বুধবার) থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে ।

সারাদেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এ কর্মসূচির পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে মত ও পথকে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর মঞ্চের অন্যতম সংগঠক রবিউল হোসেন রুবেল।

universel cardiac hospital

তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আগামীকাল ২ জুন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে পূর্ব নির্ধারিত ধারাবাহিক অবস্থান কর্মসূচির পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে আমরা সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে একত্রিত হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাব। সেখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া তাণ্ডবের মূলহোতা জেলা হেফাজতের সভাপতি সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোবারক উল্লাহসহ চিহ্নিত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীদের আপনজন বঙ্গবন্ধু তনয়া, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বরাবর লেখা স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের হাত তুলে দেব।

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে গিয়ে হেফাজতের ব্যানারে মাদ্রাসার ছাত্ররা গত ২৬ মার্চ বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ওই দিন বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে হামলা চালিয়ে জাতির জনকের ম্যুরাল, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, পুলিশসুপারের বাসভবন, জেলা জজের বাসভবন, জেলা সিভিল সার্জনের অফিসসহ ভাংচুরসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডব
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডব। ফাইল ছবি

এ ছাড়াও ২৮ মার্চ হরতাল চলাকালে হরতাল সমর্থকরা শহীদ ধীরেন্দ্রসনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, সুর সম্রাট স্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, আনন্দময়ী কালীবাড়ি মন্দির,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবনসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীরেত পরিণত করে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

শেয়ার করুন