রাজধানীর কলাবাগানে ভাড়া বাসা থেকে গ্রিন লাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর হত্যা মামলা দায়ের করেছে তার পরিবার।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে সাবিরার খালাতো ভাই রেজাউল হাসান জুয়েল বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
রেজাউল হাসান জুয়েল নিজেই বাদী হয়ে মামলা করার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
জুয়েল জানান, মামলায় কাউকে আসামি করা হয়নি, অজ্ঞাত বলা হয়েছে। যাদের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তারের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
এর আগে কাজী সাবিরা রহমান লিপিকে ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর আজিমপুর গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে। দাফনের পর পারিবারিক সিদ্ধান্তেই হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
সোমবার সকালে আগুনের খবর পেয়ে কলাবাগানের ফার্স্ট লেনের ৫০/১ নম্বর বাসায় ফায়ার সার্ভিস আসে। পরে ঘটনাস্থলে এসে ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরে একাধিক গভীর ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হতে পারে। আত্মীয়-স্বজনদের পাশাপাশি বিষয়টি দেখে হতবাক পুলিশও।
এই ঘটনার কারণ জানা না গেলেও নিহতের বাসার সাবলেটে থাকা এক নারী এবং বাড়ির কেয়ারটেকারসহ ছয় থেকে সাতজন স্বজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাদেরকে এখন পর্যন্ত ছাড়া হয়নি।