দেশে বর্তমানে প্রতিদিন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে গড়ে প্রায় পৌনে দুই হাজার কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, কোভিড-১৯ এর অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত নগদ অর্থ সহায়তাও এমএফএস ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় ৩৫ লাখ প্রান্তিক পরিবারের সুবিধাভোগীকে প্রদান করা হয়েছে। প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রফতানিমুখি শিল্পের শ্রমিকদের বেতন এমএফএস হিসেবে প্রদানের ক্ষেত্রে ক্যাশ আউট চার্জ ১.৮৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৮ শতাংশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৩জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের ব্যাংকিং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনার লক্ষ্যে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করা হয়েছে। যা মূলধারার ব্যাংকিং সেবাসমূহ প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে প্রতিদিন মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে গড়ে প্রায় এক হাজার ৭৪৫ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৮টি ব্যাংক এ সেবা চালু করেছে।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও ওষুধ কেনার জন্য এমএফএস মাধ্যমে লেনদেনের ব্যক্তিসীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে দুই লাখ টাকা করা হয়েছে। ক্যাশ আউট চার্জ এক হাজার টাকা পর্যন্ত মওকুফ করা হয়েছে এবং উক্ত পণ্যের বিক্রেতাদের লেনদেনের চার্জ মওকুফ করা হয়েছে।
ব্যাংকিং সেবাকে নিরাপদ ও ব্যয়-সাশ্রয়ীভাবে গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করা হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ইতোপূর্বে জারিকৃতত সকল নির্দেশনা একীভূত করে একটি নতুন প্রুডেনশিয়াল গাইডলাইন্স ফর এজেন্ট ব্যাংকিং অপারেশন ইন বাংলাদেশ জারি করা হয়েছে। এর ফলে সারাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ব্যাপক প্রসার আয়ে ইতিবাচক প্রবাহ সৃষ্টি করেছে।