বাংলাদেশ ও নেপালসহ কোনো দেশকেই এখন করোনাভাইরাস প্রতিষেধক টিকা দেবে না ভারত। আপাতত আর টিকা না দেয়ার বিষয়টি বৃহস্পতিবার (৩ জুন) আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী।
তিনি বলেছেন, ‘ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের পর্যায়ে আসেনি। নাগরিকদের টিকা নিশ্চিত করতে আমরা এখন টিকা আমদানির চেষ্টা করছি। সেখানে ভারতে উৎপাদিত টিকা বাংলাদেশ ও নেপালে রফতানির বিষয় নিয়ে এখন আলোচনার উপযুক্ত সময় নয়। এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠাও ঠিক না।’
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘টিকা ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম রফতানির ক্ষেত্রে ভারতই সবার আগে ছিল। তবে এখন আর তা সম্ভব নয়। আমরা দেশে টিকার উৎপাদন বাড়াতে চেষ্টা করছি। পাশপাশি আমদানির চেষ্টা করা হচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে কি-না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাগচী বলেন, ‘ভ্যাকসিন সহজলভ্য করতে ভারত সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সেটি দেশের অভ্যন্তরে উত্পাদন বাড়ানো হোক কিংবা বিদেশ থেকে সরবরাহের মাধ্যমেই হোক।’
এদিকে, আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ভারতের দেয়া টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। তাদের দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার সময়কাল পেরিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে টিকার প্রোটোকল নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশকে টিকা না দেয়ার সিদ্ধান্তকে সঠিক বলছে ভারতের কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।