করোনায় আরও ৪৩ জনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ১১.০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের দাফন
ফাইল ছবি

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে এক শিশুসহ আরও ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সবশেষ ১ জুন মৃত্যু চল্লিশ (৪১) ছাড়িয়েছিল।

এদিকে মৃত্যু বাড়ার পাশাপাশি গত একদিনে পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হারও বেড়েছে। এ সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৪৭ জন। এতে শনাক্তের হার বেড়ে ১১.০৩ শতাংশ হয়েছে, যা গত ৩৯ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

আজ শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ১১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হন ১ হাজার ৪৪৭ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ৮ লাখ ৯ হাজার ৩১৪ জন।

এদিকে নতুন যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩০ জন ও নারী ১৩ জন। এদের নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮০১ জনে।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২১ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৫ জন। এছাড়া শূন্য থেকে ১০ বছরের এক শিশুরও মৃত্যু হয়েছে করোনায়। এ পর্যন্ত শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী ৫০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে করোনায়।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৬৭ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৪২৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ১১.০৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩.৪১ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২.৬০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১.৫৮ শতাংশ।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস ধরে টানা মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর বছর শেষে কয়েক মাস ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। চলতি বছরের শুরুতে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত অনেকটা কমে আসে। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা হয়।

শেয়ার করুন