চলতি বছরের মার্চে দেশে ফের বাড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব। সংক্রমণের গতিরোধে এপ্রিল মাস জুড়ে চলে দেশব্যাপী লকডাউন। তবে সে সময় খোলা ছিল রফতানিমুখী শিল্পকারখানা। সারা বিশ্বের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি, পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের অস্থিরতা এবং করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝেও দেশের রফতানিতে বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে রফতানি হয় হয়েছে তা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ১৩ শতাংশ বেশি।
রফতানি উন্নয়ন বোর্ডের (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্য বলছে, গত মে মাসে রফতানিকারকরা পণ্য রফতানি করেছে ৩১০ কোটি ৮০ লাখ ডলারের, যা ২০২০ সালে মে মাসের তুলনায় ১১২ শতাংশ বেশি।
চলতি অর্থবছরের বাকি আছে আর এক মাস। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে এই ১১ মাসে ৩ হাজার ৫১৮ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।
এই ১১ মাসে ১০৮ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি। ৮৪ কোটি ৬০ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি হয়েছে। এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এগুলোর পাশপাশি হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, রাসায়নিক পণ্য, প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি বেড়েছে।
করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় তৈরি পোশাকের রফতানিও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসে মোট ২ হাজার ৮৫৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে। যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ শতাংশ বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৫৩৬ কোটি ডলারের নিট পোশাক ও ১ হাজার ৩১৯ কোটি ডলারের ওভেন পোশাকের রফতানি হয়েছে।
নিট পোশাকের রফতানি সাড়ে ২০ এবং ওভেন পোশাকের রফতানি ১ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে।