১৫০ দিনের বেশি ওএসডি নয়: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

১৫০ দিনের বেশি সরকারি কর্মকর্তাদের ওএসডি করে রাখার বিধান অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রায় প্রদানকারী বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের স্বাক্ষরের পর ২১ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

universel cardiac hospital

সোমবার (৭ মে) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়া গেছে। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, কোনো কর্মকর্তাকে ১৫০ দিনের বেশি ওএসডি করে রাখা যাবে না। ওএসডি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত কাজ অবশ্যই ১৫০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, কোনো কর্মকর্তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) হিসেবে পদায়ন করা হলে অকারণে দেরি না করে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা নিরুপণের জন্য সরকারকে অবশ্যই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। তদন্ত কমিটি যদি অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায় তাহলে সরকারের উচিত হবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এর আগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ১৫০ দিনের বেশি সরকারি কর্মকর্তাদের ওএসডি করে রাখার বিধান অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে যেসব সরকারি কর্মকর্তা ১৫০ দিনের বেশি সময় অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) আছেন তাদের নিজ নিজ পদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া একজন সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ সংক্রান্ত রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

২০১২ সালে ওএসডির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেছিলেন সাবেক সচিব এম আসাফউদ্দৌলাহ।

রিটে বলা হয়, ১৯৯১ সালের ৩ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সর্বনিম্ন ৪৫ এবং সর্বোচ্চ ১৫০ জনকে ওএসডি করে রাখার বিধান রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এর ব্যতিক্রম হচ্ছে। তাই ওএসডির বিষয়ে আদালতের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়।

শেয়ার করুন