করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে বাংলাদেশে আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আরও ১৯৭০ জনের দেহে অদৃশ্য ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ১৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হন ১ হাজার ৯৭০ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ৮ লাখ ১২ হাজার ৯৬০ জন।
নতুন করে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন এবং নারী ১১ জন। এদের নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮৬৯ জনে।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২২ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৩ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯১৮ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৭ লাখ ৫৩ হাজার ২৪০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ১১.৪৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩.৪০ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২.৬৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১.৫৮ শতাংশ।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস ধরে টানা মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর বছর শেষে কয়েক মাস ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। চলতি বছরের শুরুতে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত অনেকটা কমে আসে। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা হয়।