করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত একদিনে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন ও নারী ১৯ জন। ৩৬ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩৩ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে তিনজন মারা যান। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৯৪৯ জন।
একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৫৩৭ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল আট লাখ ১৭ হাজার ৮১৯ জন।
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল একদিনে আড়াই হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। সে হিসাবে ৪২ দিন পর সর্বোচ্চ করোনা রোগী হলো আজ।
বুধবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৫১০টি ল্যাবরেটরিতে ২০ হাজার ৬০৪টি নমুনা সংগ্রহ ও ২০ হাজার ৫৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৬১ লাখ ছয় হাজার ৭৯১টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৮ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই হাজার ২৬৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা সাত লাখ ৫৭ হাজার ৫৬৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৬ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন ও ষাটোর্র্ধ্ব ২১ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ছয়জন, চট্টগ্রামে ছয়জন, রাজশাহীতে নয়জন, খুলনায় ১০ জন, সিলেটে একজন ও রংপুর বিভাগে চারজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।