সাকিব আল হাসানের শাস্তি ঘোষণা নিয়ে একের পর এক নাটক। বিকেলে একবার মোহামেডানের এক কর্মকর্তার উদ্বৃতি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়, চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। এরপর বলা হয়, না ওটা সত্যি নয়। পরে জানানো হয়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করবে সিসিডিএম। কিন্তু সেটাও বাতিল করা হয়।
অবশেষে সন্ধ্যায় বিসিবি সভাপতি নাজুমল হাসান পাপনের গুলশানের বাসভবনে এক অনির্ধারিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ। সেখানেই ঘোষণা করা হয়, সাকিব আল হাসান তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ। সঙ্গে ৫ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা।
সাকিবকে ৩ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার সাথে ৫ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন ম্যাচ রেফারি মোর্শেদ চৌধুরী। সাকিবও সে শাস্তি মেনে নিয়েছেন। এ কারণে এ ঘটনায় আর কোনো শুনানি অনুষ্ঠিত হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের শাস্তি প্রসঙ্গে সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ বলেন, আমরা সাকিবের পুরো জিনিসটা যা দেখেছি, আচরণবিধির লেভেল থ্রি’র দুটি অপরাধ করেছেন। তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শাস্তি ঘোষণার আগে বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে কথা হয়েছে সিসিডিএমের। কাজী ইনাম বলেন, বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। কি কারণে এটা হলো, সেটিও জানতে চেয়েছেন তিনি। তিনদিন পর মিটিং আছে, সেখানে আমরা আলোচনা করব। দুইদিনের মধ্যে বসব, আলোচনা করব। এই লিগ নিয়ে যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলো আমরা শুনব।
সাকিবের বিরুদ্ধে তদন্ত করবেন কি না? জানতে চাইলে সিসিডিএম চেয়ারম্যান বলেন, যখন একটা খেলা হয়, তার মধ্যে যে ঘটনা ঘটে, সেটির রিপোর্ট দেবেন আম্পায়ার আর ম্যাচ রেফারি সিদ্ধান্ত নেবেন। সেই অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শোনা গিয়েছিল চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি দেয়া হবে সাকিবকে। কিন্তু সেটা কেন তিন ম্যাচ হলো? জবাবে কাজী ইনাম বলেন, ম্যাচ রেফারি আর আম্পায়ারদের রিপোর্টে তো লেভেল থ্রি দেখেছি আমরা, তার শাস্তি তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা এবং জরিমানা। কোনো ক্লাব কি বলেছে, সেটা নিয়ে আমরা মন্তব্য করতে পারব না।
সাকিব শাস্তি মেনে নিয়েছেন জানিয়ে কাজী ইনাম বলেন, সাকিব লেভেল থ্রি’র ভঙ্গের দুটি অপরাধ করেছেন। সাকিবকে সেটা জানানো হয়েছে। তিনি সেটা মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করেছেন।