জাবির ৬ শিক্ষক নিয়োগ আপাতত স্থগিতের নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি

অনলাইনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগে ছয় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে বলেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২০ জুন পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার আদেশ দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত নথি আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত রিটের আদেশের জন্য ২০ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

universel cardiac hospital

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন। জাবির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

শুনানি শেষে নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র আদালতে জমা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীকে নির্দেশ দেয় আদালত।

অনলাইনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১০ জুন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষক রিট করেন। রিটে দর্শন বিভাগে ছয়জন শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়।

রিটকারী শিক্ষকরা হলেন- ড. মো. কামরুল আহসান, ড. এস এম আনোয়ার উল্লাহ ভূঁইয়া, মো. জাকির হোসাইন ও আব্দুস সাত্তার। চার শিক্ষকের পক্ষে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. সৈয়দা নাসরিন।

অনলাইনে মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে করা ওই রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইউজিসির চেয়ারম্যান, জাবি উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে এ বিষয়ে আইনি নোটিশও দেয়া হয়।

পরে রিটকারীদের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন সাংবাদিকদের বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দর্শন বিভাগে ৬ শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। করোনার সময় যেখানে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে তড়িঘড়ি করে অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তকে হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে এটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন জাবির দর্শন বিভাগের শিক্ষকেরা। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করতে এর আগে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব না পেয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে রিট করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী।

শেয়ার করুন