চট্টগ্রামে জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাসহ ৫৫ হাজার ৩৯০ ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির অভিযোগে সাবেক চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খোরশেদ আলমসহ (বর্তমানে পরিচালক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়) ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুপুরে মামলাটি করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন।
মামলার অপর আসামিরা হচ্ছেন- জেলা নির্বাচন অফিসের সাবেক উচ্চমান সহকারী মাহফুজুল ইসলাম, সাবেক অফিস সহায়ক রাসেল বড়ুয়া, পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মোস্তাফা ফারুক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা একে অপরের যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয়ে ভুয়া পরিচয়, নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
মামলায় এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর মিরসরাই উপজেলায় ব্যবহারের জন্য চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের সাবেক অফিস সহায়ক রাসেল বড়ুয়া পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মোস্তাফাকে একটি ল্যাপটপসহ বিভিন্ন মাল দেওয়া হয়। তিনি এগুলো গ্রহণ করে মিরসরাইয়ে নিয়ে যান। পরে এসব মাল ফেরত আসার কথা অফিসিয়ালি স্বীকারও করা হয়। তবে ল্যাপটপটি হালনাগাদে বিভিন্ন উপজেলায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে বলা হলেও ল্যাপটপের সর্বশেষ অবস্থান সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসকে রাসেল বড়ুয়া ও মাহফুজুল ইসলাম জানাতে পারেননি। মূলত ওই ল্যাপটপ ব্যবহারের মাধ্যমে তারা অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় ৫৫ হাজার ৩১০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করেন।
পরবর্তীতে ল্যাপটপের সন্ধানে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণসহ তদন্ত হলেও তৎকালীন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তকরণ কাজে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে ব্যবহৃত বিশেষায়িত ল্যাপটপটি উদ্ধারের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এমনকি উক্ত বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে না এনে তিনি দোষীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে ওই ল্যাপটপসহ কয়েকটি ল্যাপটপ ব্যবহার করে ৫৫ হাজার ৩৯০ জনকে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন জানান, জাল-জালিয়াতি করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।