বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত নিলেন বাইডেন-পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পুতিন-বাইডেন
পুতিন-বাইডেন। ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেছেন। জেনেভায় এই দুই নেতা বৈঠকে মিলিত হন।

বুধবার চার ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে নানা আলোচনা থাকলেও ইতোমধ্যেই এর সুফল মিলতে শুরু করেছে। চলতি জুন মাসের মধ্যেই রুশ রাষ্ট্রদূত ওয়াশিংটনে ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছে রাশিয়া। খবর আল জাজিরার।

বৈঠক শেষে জানা যায়, দুই দেশের প্রেসিডেন্টই প্রত্যাহার করে নেয়া রাষ্ট্রদূতদেরকে আবার একে অপরের দেশে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছেন।

এ বছরের শুরুতে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির জেরে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করেছিল। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার বাইডেন-পুতিনের প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে নানা বিষয়ের মধ্যে দুই দেশের এই রাষ্ট্রদূত ফেরানোর বিষয়টিই মুখ্য ছিল। আর তাতেই একমত হন তারা।

বৈঠকের পর আলাদা আলাদাভাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন এই দুই নেতা।

প্রথমে সংবাদ সম্মেলন করে পুতিন বলেছেন, বৈঠক খুবই গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে, কোনো বৈরি মনোভাব ছিল না এবং একে অপরকে বোঝার আগ্রহও দেখা গেছে।

এ সময় বাইডেনকে একজন অভিজ্ঞ রাষ্ট্রপ্রধান এবং তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ভিন্ন বলে উল্লেখ করেন পুতিন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক সহিংসতা ও মানবাধিকার নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি।

পুতিন জানান, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ায় কারাবন্দি মার্কিন নাগরিকের প্রসঙ্গ টেনেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, বন্দি বিনিময়ের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি চুক্তি হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।

সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে বৈঠকে দুইপক্ষই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে এবং এ ব্যাপারে একসঙ্গে কাজ করার বিষয় সম্মত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুতিন।

পুতিনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেছেন, উভয়পক্ষই সাইবার হামলাকে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে।

তবে বৈঠকের আগে ওয়াশিংটন বা মস্কো কেউই বৈঠকের ফলাফল নিয়ে অতটা আশাবাদী ছিল না। বাইডেনের সঙ্গে জেনেভা যাওয়ার পথে এয়ারফোর্স ওয়ানে এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমরা এই বৈঠক থেকে বড় কিছু আশা করছি না।

অন্যদিকে পুতিনের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ বলেছিলেন, কোনো সমঝোতা হবে কি না সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই।

শেয়ার করুন