যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপ ও মোকাবিলা— উভয় পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। বিশেষ করে ‘মোকাবিলার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়ার’ ওপর জোর দেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি এ তথ্য জানায়।
যদিও এর আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে জো বাইডেন প্রশাসনের উদ্যোগকে উপেক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়া। তার এ বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরে বলা হয়, কিমের এ মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার আলোচনা শুরুর পথ উন্মুক্ত করতে পারে। কিম বলেন, আমাদের রাষ্ট্রের মর্যাদা রক্ষায় আমাদের পুরোপুরি প্রস্তুতি নিতে হবে।
সম্প্রতি ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় কিম প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া খাদ্য সংকটে রয়েছে।
এভাবে উত্তর কোরিয়ার দুরবস্থার কথা স্বীকার করে নেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। তা ছাড়া এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সংলাপের প্রস্তুতির বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
কিমের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের সম্পর্কের টানাপোড়েন নতুন নয়।
এর আগে বাইডেন প্রশাসন এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়াকে ‘গুরুতর হুমকি’ হিসেবে অভিহিত করে। উত্তর কোরিয়া এ বিবৃতির কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। এতে বলা হয়, বাইডেনের চাওয়া হচ্ছে- ‘উত্তর কোরিয়ার ওপর বৈরী নীতি বহাল রাখা’।
যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি তাদের উত্তর কোরিয়াসংক্রান্ত নীতি পর্যালোচনা করেছে এবং দেশটি কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। কিন্তু নানা কারণে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের আলোচনা থমকে আছে।