দ্বিতীয়বারের মতো জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব নিলেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। শুক্রবার দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য শপথ নিয়েছেন তিনি।
১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ গুতেরেসকে এই দায়িত্ব দিয়েছে। এর আগে নিরাপত্তা পরিষদেও তিনি পুননির্বাচিত হয়েছিলেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতভাবে দ্বিতীয় পাঁচ বছরের মেয়াদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।
দায়িত্ব নেয়ার পর গুতেরেস বিশ্বজুড়ে চলমান করোনাভাইরাস থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা কাজে লাগানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
২০২২ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করবেন ৭২ বছর বয়সী পর্তুগীজ রাজনীতিবিদ গুতেরেস। এর আগে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে গুতেরেসকে আরেক মেয়াদে দায়িত্ব দেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়। মূলত নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশই সব সময় পালন করে সাধারণ পরিষদ। ফলে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে গুতেরেসের দ্বিতীয় মেয়াদের কার্যক্রম। জাতিসংঘ মহাসচিব পদটির মেয়াদ পাঁচ বছর।
শপথ গ্রহণের পর সংবাদ সম্মেলনে গুতেরেস বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, সামনে বড় একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সমস্যাকে (করোনাভাইরাস মহামারি) বদলে দিয়ে এমন একটি বিশ্ব তৈরি করা, যা থেকে শিক্ষা নেয়া যেতে পারে।
বান কি মুনের পর ২০১৭ সাল থেকে জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়া ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গুতেরেস। সোশ্যালিস্ট ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
অ্যান্তোনিও গুতেরেস ছাড়াও আরও ১০ জন এ পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শুধু পর্তুগাল ছাড়া সদস্য দেশগুলোর কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে কারও নাম প্রস্তাব না করায় কেউ প্রার্থী হতে পারেননি।
১৯৪৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে জন্মগ্রহণ করেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সেখানেই তার শৈশবকাল অতিবাহিত হয়। তার বাবা ভার্জিলিও ডায়াস গুতেরেস ও মাতা ইল্দা কান্ডিডা দে অলিভেইরা।