কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২ কোটি ৩৩ লাখ নগদ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া চার কেজি পরিমাণ সোনা-রূপা এবং বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গেছে।
শনিবার প্রায় পাঁচ মাস পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। এতে পাওয়া যায় ১২ বস্তা টাকা। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বিকালে শেষ হয় গণনা।
মসজিদের পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা জানান, সকাল নয়টার দিকে দুই শতাধিক মানুষ ১২টি বস্তায় পূর্ণ এসব মুদ্রা গুণতে শুরু করেন। গণনা শেষে বিকালে দেখা যায়, সেখানে ছিল দুই কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৯ টাকা। আরও ছিল প্রায় চার কেজির মতো সোনা ও রূপার গহনা। বিদেশি মুদ্রার মধ্যে ছিল ভারতীয় রুপি সবচাইতে বেশি। আরও পাওয়া গেছে ডলার, ইউরো, সৌদি রিয়েল, ইয়েন, দিনার ইত্যাদি বিদেশি মুদ্রা। তবে বিদেশি মুদ্রার সঠিক পরিমাণ জানা যায়নি।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি এই মসজিদের সিন্দুক থেকে দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলার কথা থাকলেও এবার খোলা হলো প্রায় পাঁচ মাস পর। শেষবার গত জানুয়ারি মাসেও চার মাস পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল।
শনিবারের অর্থ গণনায় অংশ নেন ১২৭ জন ছাত্র, ৫২ জন ব্যাংক কর্মকর্তা ও মসজিদ কমিটির ৩৩ জন সদস্য।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক এই মসজিদে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার দান করেন। এছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও দান করেন মানুষ।