প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়েছিল জার্মানি। ফলে এই ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট মানেই ইউরোর লড়াই থেকে ছিটকে যেতে হবে। তাই জিততে মরিয়া ছিল তারা। পর্তুগালও জিতে পরের পর্বে পৌঁছাতে চেয়েছে। কিন্তু নিজেদের ভুলে আটকে গেল পর্তুগিজরা।
‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে শনিবার (১৯ জুন) রাতে আত্মঘাতী ২ গোলে ৪-২ স্কোরলাইনে হেরে গেল ফার্নান্দো সান্তোসের শিষ্যরা।
অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় শুরু থেকে আক্রমণের ঝড় তুলে জার্মানি। ৫ মিনিটেই রবিন গোসেনসের গোলে এগিয়ে যায় জার্মানরা। কিন্তু আফসাইডের আবেদন করে পর্তুগাল। গোলটি বাতিল করেন রেফারি।
ম্যাচের ১৫তম মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে অসাধারণ গোল করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দিয়োগো জোটা নিখুঁত পাস বাড়ান রোনালদোকে। পর্তুগিজ তারকা একেবারে নিজের পজিশনে দাঁড়িয়েছিলেন। বলটা পেয়ে জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি সিআর সেভেন।
এতে পর্তুগালের জার্সিতে তার ১০৭টি গোল হয়ে গেল। আলি দাইয়ের রেকর্ডের আরও কাছে পৌঁছে গেলেন রোনালদো। আলি দাই জাতীয় দলের জার্সিতে মোট ১০৯টি গোল করেছেন। ইরানের স্ট্রাইকারকে স্পর্শ করতে রোনালদোর দরকার আরও দু’গোল।
এরপর ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে জার্মানি। রবিন দায়েসের অসাধারণ একটি পাস ধরে নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান কাই হ্যাভার্জ।
গোলশোধের পর জার্মানি আরও তেঁতে উঠে। তাদের আক্রমণে পর্তুগালের রক্ষণে কার্যত কাঁপুনি ধরে। ৩৯তম মিনিটেই বল ক্লিয়ার করার বদলে উল্টো আত্মঘাতী গোল করে বসে পর্তুগাল। রাফায়েল গুয়েরেইরোর গায়ে লেগে বল ঢুকে যায় জালে। ২-১ এগিয়ে যায় জোয়াকিম লোর শিষ্যরা।
বিরতি থেকে ফিরে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠে ডি মানশাফটরা। জার্মানির আক্রমণে যেন একেবারে কোণঠাঁসা হয়ে পড়ে রোনালদোরা। ৫১তম মিনিটেই কাই হ্যাভার্জের গোলে ব্যাবধান বাড়াল জার্মানি।
৯ মিনিট পরেই রবিন গোসেনসের গোলে ১-৪ স্কোরলাইনে দাঁড়ায় ম্যাচটি। ৬৬ মিনিটে হলুদ কার্ড পায় কাই হ্যাভার্জ। এক মিনিট পরেই দিয়োগো জোটাকে দিয়ে গোল করান সিআর সেভেন।
ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে পর্তুগালের জোটাকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন জার্মানির মাথিয়াস জিন্টার। বাকি সময়ে ব্যবধান বাড়েনি। শেষ পর্যন্ত ৪-২ স্কোরলাইনের ম্যাচে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই মাঠ ছাড়ল পর্তুগিজরা।