সুফিয়া কামালের সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মের প্রেরণার উৎস : রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রপতি-সুফিয়া কামাল
রাষ্ট্রপতি-সুফিয়া কামাল। ফাইল ছবি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, কবি সুফিয়া কামাল রচিত সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মকে গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করে। তার জীবন ও আদর্শ এবং কালোত্তীর্ণ সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মের জন্য প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।

রোববার (২০ জুন) কবি সুফিয়া কামালের ১১০তম জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার (১৯ জুন) দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

universel cardiac hospital

আবদুল হামিদ বলেন, নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের ১১০তম জন্মবার্ষিকীতে আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।তার জন্ম ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদের এক অভিজাত পরিবারে। তৎকালীন বাঙালি মুসলমান নারীদের লেখাপড়ার সুযোগ একেবারে সীমিত থাকলেও তিনি নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া শেখেন এবং ছোটোবেলা থেকেই কবিতাচর্চা শুরু করেন।

তিনি আরও বলেন, সুললিত ভাষায় ও ব্যঞ্জনাময় ছন্দে তার কবিতায় ফুটে উঠেছে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও সমাজের সার্বিক চিত্র। নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার সাথে সুফিয়া কামালের সাক্ষাৎ ঘটে ১৯১৮ সালে কলকাতায়। বেগম রোকেয়া ছিলেন তার অনুপ্রেরণার উৎস। কবির প্রথম কবিতা ‘বাসন্তী’ প্রকাশিত হয় ‘সওগাত’ পত্রিকায় ১৯২৬ সালে। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাঁঝের মায়া’ ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত হলে রবীন্দ্রনাথ এ কাব্য পড়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ কাব্যের ভূমিকা লেখেন কাজী নজরুল ইসলাম। সুদীর্ঘকাল ধরে তিনি সাহিত্যচর্চা, সমাজসেবা ও নারী কল্যাণমূলক নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, নারীদের সংগঠিত করে মানবতা, অসাম্প্রদায়িকতা, দেশাত্মবোধ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে তিনি ছিলেন সর্বদা সচেষ্ট। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নারী-পুরুষের সমতাপূর্ণ একটি মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছিল সুফিয়া কামালের জীবনব্যাপী সংগ্রামের প্রধান লক্ষ্য। এ মহীয়সী নারীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

শেয়ার করুন