প্রথম ধাপের ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ (সোমবার) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ দফায় মাত্র ২০টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেয়া হচ্ছে। বাকি ১৮৪টিতে ভোট নেয়া হচ্ছে প্রথাগত ব্যালট পদ্ধতিতে।
প্রথম ধাপের নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি আগেই শেষ করার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথমে ইসি ৩৬৭টি ইউপিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেও করোনা প্রবণ এলাকার ১৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান জানান, আজ ১৩টি জেলার ৪১টি উপজেলায় ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম ধাপের এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮৫৯ জন, সংরক্ষিত (নারী) সদস্য পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী দুই হাজার ১৫৪ জন এবং সাধারণ সদস্য আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছয় হাজার ৯৬০ জন। ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ২৮ জন।
ইসি সূত্র জানায়, প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৮৩৬টি। আর মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ১০ হাজার ২৬০টি। এই নির্বাচনে উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং হিসেবে কাজ করছেন।
ইউনিয়ন পরিষদগুলোয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪৫ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে ৪০ হাজার ৩৯২ জন দায়িত্ব পালন করবেন। কেন্দ্রের বাইরে নির্বাচনী এলাকায় পুলিশের মোবাইল টিম ২০৪টি, স্ট্রাইকিং টিম ৭৪টি, র্যাবের ১২৪টি টিম ও বিজিবির ১২৩ প্লাটুন সদস্য রয়েছেন। ইউপিগুলোয় ৩৯৩ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এর আগে ১০ জুন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছিলেন, ২১ জুন নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত ৩৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে করোনার উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন এলাকা খুলনা বিভাগের সব ইউনিয়ন পরিষদ, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ইউনিয়ন পরিষদসহ মোট ১৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে- বাগেরহাট জেলায় ৬৮টি, খুলনা জেলায় ৩৪টি, সাতক্ষীরা জেলায় ২১টি, নোয়াখালী জেলায় ১৩টি, চট্টগ্রাম জেলায় ১২টি এবং কক্সবাজার জেলায় ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ।
ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও লক্ষ্মীপুর-২ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন, ঝালকাঠী ও দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ পৌরসভার ভোট গ্রহণ হচ্ছে আজ।
ভোটের দিন হলেও নির্বাচনী এলাকায় কোনো সাধারণ ছুটি থাকছেনা। তবে ভোটকেন্দ্রসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন।