গত একদিনে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে দেশে আরও ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সরকারি হিসাবে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে মারা গেলেন ১৩ হাজার ৭০২ জন। একই সময়ে নতুন করে চার হাজার ৮৪৬ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। যা কিনা তার আগের ২৪ ঘণ্টার চেয়েও বেশি। আর নতুন শনাক্তসহ দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৬১ হাজার ১৫০-এ।
মঙ্গলবার (২২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ জন মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর চার হাজার ৬৩৬ জনের করোনা শনাক্তের কথা জানানো হয়েছিল। সেই হিসাবে মৃতের সংখ্যায় দুজন কমলেও, শনাক্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।
দেশে বর্তমানে ৫২৮টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, এর মধ্যে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে হচ্ছে ১২৬টি পরীক্ষাগারে, জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে ৪৬টি পরীক্ষাগারে এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ৩৫৬টি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৫ হাজার ৩৩৮টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৫ হাজার ২৮টি। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৩ লাখ ৭৬ হাজার ৮১৯টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪৬ লাখ ৫৪ হাজার ২৭৮টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখ ২২ হাজার ৫৪১টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৫৫ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে দুই হাজার ৯০৩ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৪৪৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬২১ জন, রংপুর বিভাগের ৭৭ জন, খুলনা বিভাগের ৩২১ জন, বরিশাল বিভাগের ৩৪ জন, রাজশাহী বিভাগের ২৫৯ জন, সিলেট বিভাগের ১০৩ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের সুস্থ হয়েছেন ৪১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া ৭৬ জনের মধ্যে পুরুষ ৪২ জন আর নারী ৩৪ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ মারা গেছেন নয় হাজার ৮১০ জন আর নারী তিন হাজার ৮৯২ জন।
মৃতদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ষাটোর্ধ্ব আছেন ৩৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন ২৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে আটজন আর ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আছেন একজন।
তাদের মধ্যে ঢাকা আর রাজশাহী বিভাগের আছেন ১৪ জন করে, চট্টগ্রাম বিভাগের আছেন ১০ জন, খুলনা বিভাগের ২৭ জন, বরিশাল বিভাগের দুইজন, সিলেট বিভাগের তিনজন আর রংপুর বিভাগের আছেন ছয়জন।
মৃতদের ৬২ জনই মারা গেছেন সরকারি হাসপাতালে, আর বেসরকারি হাসপাতালে ১০ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন চারজন।