সিলেটে গৃহকর্মীর শরীরে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিলেটে গৃহকর্মীর শরীরে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে নির্যাতন

গৃহকর্মীকে মারধর করে তার শরীরে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে বাথরুমে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সিলেট পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক এমরান হোসেনের স্ত্রী ফারহানা চৌধুরীর (৩৯) বিরুদ্ধে।

গৃহকর্মীর নাম রুনা আক্তার (১৬)। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন পুলিশে খবর দিলে নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ পায়।

universel cardiac hospital

বুধবার (২৩ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খবর পেয়ে নগরের শাহজালাল উপশহরের ই-ব্লকের ২১ নম্বর বাসার বাথরুম থেকে পুলিশ গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে এবং এমরান হোসেনের স্ত্রী ফারহানা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।

গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেন ফারহানা চৌধুরী। তিনি দাবি করেন, গৃহকর্মী নিজেই শরীরে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়েছে।

শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে আমরা কিশোরী গৃহকর্মীকে উদ্ধার ও সিলেট পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক এমরান হোসেনের স্ত্রী ফারহানা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা নিয়ে এসেছি।

বিকেল ৬টায় তিনি বলেন, ‌এ মুহূর্তে আমি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এরপর বিস্তারিত সাংবাদিকদের জানানো হবে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহরের ই-ব্লকের ২১ নম্বর বাসায় (ফিরোজা মঞ্জিল) সিলেট পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক এমরান হোসেনের বাসার বাথরুমে কিশোরী গৃহকর্মী রুনা আক্তারকে তালাবদ্ধ করে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের সময় তার শরীরে মরিচের গুঁড়াও ছিটিয়ে দেয়া হয়। দুপুরে রুনা আক্তারের চিৎকার ও কান্না শুনে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।

খবর পেয়ে শাহপরান থানার একদল পুলিশ এমরান হোসেনের বাসায় গিয়ে বাথরুম থেকে রুনা আক্তারকে উদ্ধার করে। পরে অধিদফতরের পরিচালক এমরান হোসেনের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শাহপরান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

গৃহকর্মী রুনা আক্তার সাংবাদিকদের জানায়, তার বাড়ি ঢাকার গাজীপুরে। এক মাস ধরে সে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে। কাজে একটু এদিক ওদিক হলেই গৃহকর্ত্রী ফারহানা চৌধুরী তাকে মারধর করতেন। বুধবার তাকে পুরো শরীরে কিল ও লাথি মারেন। এক পর্যায়ে চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে বাথরুমে আটকে রাখেন।

মেয়েটি এ সময় বাবা-মার কাছে ফিরে যাওয়ার আকুতি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে।

শেয়ার করুন