দল থেকে ঢাকা-১৪ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে তা জমাও দিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক। কিন্তু নির্বাচনকে সামনে রেখে হঠাৎ করে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন জাপার এই কেন্দ্রীয় নেতা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এই নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় পার্টি। জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেন।
ঢাকা-১৪ আসনের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আওয়ামী লীগ ছাড়াও আরও তিনজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে জাপা নেতা মোস্তাকুর রহমানও ছিলেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন মোস্তাকুরসহ তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
জাপা নেতাসহ তিনজন সরে দাঁড়ানোয় ঢাকার আসনটির উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আগা খান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এখন শুধু ঘোষণা দেয়া বাকি।
জাতীয় পার্টির নেতাদের ধারণা অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মোস্তাকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার দলটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের গঠনতন্ত্রের ২০/১ (১) ক ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মোস্তাককে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
ঢাকা-১৪ আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় তার বিরুদ্ধে উপরোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির সংসদীয় বোর্ড প্রার্থী মনোনয়নের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে যেকোনো পরিস্থিতিতে নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকার প্রতিশ্রুতিতে মোস্তাককে মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনি উক্ত মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্তকে অমান্য করেছেন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এর আগে কুমিল্লা-৫ আসনে উপনির্বাচনে হঠাৎ করে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ান জাতীয় পার্টির নেতা জসিম উদ্দিন। তাকেও দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল।
জাপা সূত্রে জানা গেছে, নেতাদের ধারণা আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে ভোটের আগে হঠাৎ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জসিম উদ্দিন।
এর আগে আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুলের লক্ষ্মীপুর-২ আসনেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী টাকার বিনিময়ে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও ওই ঘটনায় অভিযোগ আসার পর দলীয় প্রার্থী মোহাম্মদ নোমানকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল জাতীয় পার্টি।