করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে সারাদেশে আরও ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৫৫ ও নারী ২৬ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬২, বেসরকারি হাসপাতালে ১৪ এবং বাসায় ১০ জন মারা যান। এ নিয়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ হাজার ৮৬৮ জনে।
একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ছয় হাজার ৫৮ জন। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫ জনে।
এর আগে বুধবার (২৩ জুন) ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৮৫ জনের মৃত্যু এবং ৫ হাজার ৭২ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। গতকাল নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারি ও বেসরকারি ৫৫৪টি ল্যাবরেটরিতে ৩০ হাজার ৯৯৪টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩০ হাজার ৩৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন করে ছয় হাজার ৫৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৬টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
এদিকে, একদিনে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৩০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল সাত লাখ ৯৪ হাজার ৭৮৩ জনে।
২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৮১ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব আটজন, ত্রিশোর্ধ্ব নয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব নয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৮ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৩৬ জন।
বিভাগওয়ারি হিসাবে, মৃত ৮১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রামে সাতজন, রাজশাহীতে ২০ জন, খুলনায় ২৩ জন, বরিশালে তিনজন, সিলেট বিভাগে পাঁচজন, রংপুর বিভাগে সাতজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।