আবারও মাল্টা থেকে ১৫৮ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর খবরে প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগেও দেশটি থেকে ৪৪ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। এরইমধ্যে গ্রিস দূতাবাসের কর্মকর্তারা মাল্টায় অবস্থান করছেন।
একইসঙ্গে অবৈধ অভিবাসীরা বাংলাদেশি কি-না তা যাচাই করতে বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধি দল এসে ১৬০ জনকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করেন।
সুত্র জানায়, এর আগে ৪৬ জনকে পাঠানোর কথা থাকলেও দু-জন আইনি প্রক্রিয়ায় মাল্টায় থাকার সুযোগ পান।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক মাল্টা আওয়ামী লীগের এক নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দূতাবাস বাংলাদেশিদের রাখার ব্যবস্থা না করে তাদের দেশে পাঠানোর জন্য আউট পাস দিচ্ছে।
অবৈধ পথে আসা বাংলাদেশিরা মানবিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক সমস্যা দেখিয়ে মাল্টা সরকারের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
এ ব্যাপারে গ্রিস দূতাবাসের কাউন্সিলর মো. খালেদ বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়। জোড় পূর্বক কোন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। বরং তারা স্বেচ্ছায় চলে যেতে চাচ্ছেন।
এদিকে অসহায় বাংলাদেশিদের পাশে থাকার জন্য অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশন(আয়েবা) মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহ জানান, ইতোমধ্যে আমাদের সংগঠন মাল্টা প্রশাসন ও ইউরোপ ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
পাশাপাশি মাল্টার আয়ইনজীবী সংগঠনের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আইনজীবীদের এ সংগঠনটি চুড়ান্ত করা হলে আয়েবার হয়ে মাল্টায় যেসব অসহায় বাংলাদেশি রয়েছে তাদের জন্য আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, আযেবা দেশের স্বার্থে কাজ করতে সব সময় দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এর আগেও পর্তুগালে আয়েবার সহযোগিতায় তিন হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে বৈধতা দেওয়ার ব্যবস্থা করে আয়েবা।
এরই ধারাবাহিকতায় আয়েবা মাল্টায় অসহায় বাংলাদেশিদের পাশে থাকার জন্য কাজ শুরু করেছে।